
ঢাকা: ফের ধর্মঘটের হুঁশিয়ারী দিয়ে রোববার থেকে ধর্মঘট স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছেন মাংস ব্যবসায়ী সমিতি। গাবতলী গরুর হাটের ইজারাদারদের হয়রানি বন্ধ, হুন্ডি ব্যবসায়ীদের বিচার, পশুর চামড়ার ন্যায্য দামসহ কয়েকটি দাবি জানিয়েছেন তারা। সরকার এসব দাবি মানলে তারা প্রতি কেজি মাংস ৩০০ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন বলেও জানান।
শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সামনে মানববন্ধনের পর সংবাদ সম্মেলন করেন মাংস ব্যবসায়ীরা। সেখানে ধর্মঘট প্রত্যাহারসহ এসব বিষয়ে কথা বলেন সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম।
ব্যবসায়ীরা জানান, দীর্ঘদিনেও সমস্যাগুলোর সমাধান না হওয়ায় ধর্মঘট ডাকতে বাধ্য হয়েছেন তারা। রোববার থেকে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হলেও দাবি দাওয়া বাস্তবায়িত না হলে সারা দেশে এই ধর্মঘট ডাকার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
রবিউল আলম বলেন, আমাদের ছয়দিনের ঘোষিত ধর্মঘট শনিবার পুরো হবে। তারপর দিন থেকে আমরা সেটা স্থগিত করলাম। রোববার বেলা ১১টায় বাণিজ্যমন্ত্রী আমাদের ডেকেছেন সেখানে আমরা কথা বলবো। সেদিনই বেলা ২টার সময় উত্তর সিটি করপোরেশন আমাদের ডেকেছেন। রোববারের পরে যদি ফলপ্রসূ আলোচনা না হয়, গাবতলী গরুর হাটের ইজারা যদি বাতিল না হয়, তাহলে সবার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হবে আবার কবে থেকে আমরা সারা বাংলাদেশের মাংসের ব্যবসা বন্ধ করে দেব।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার মাসেংর হাট। অন্য সব কিছুই ঠিক আছে। তবে নেই শুধু মাংস। দিন কয়েক আগেও যেসব দোকানে থাকতো দীর্ঘ লাইন, সেখানে গেলো ছয় দিন ধরেই এই নীরবতা। হাটে চাঁদাবাজি এবং অতিরিক্ত খাজনা আদায় বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে মাংস ব্যবসায়ীদের ডাকা ধর্মঘটের কারণে রোববার থেকে বন্ধ আছে এসব দোকান। শুধু কারওয়ান বাজারেই নয়, একই দাবিতে বন্ধ আছে পুরো রাজধানীজুড়ে থাকা এমন ৫ হাজারেরও বেশি দোকান।
এমন সিদ্ধান্তে বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ক্রেতাদের। বাজারে এসে মাংস না পেয়ে হতাশও হচ্ছেন তারা। গরু-খাসির বিক্রি বন্ধের প্রভাব পড়েছে মুরগির বাজারে। প্রতি কেজি দেশি মুরগি ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেশিতে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। আর ব্রয়লারে গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত ১০ থেকে ১৫ টাকা।
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা: জাহিদ