
গোপালগঞ্জ: জেলা শহরের আল জামিয়াতুল মোহম্মাদিয়া কোর্ট মসজিদ মাদ্রাসা ও এতিমখানায় খাদ্যের বিষক্রিয়ায় ৩২ ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ ঘটনায় যে রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার আনা হয়েছে পুলিশ ওই রেস্টুরেন্ট মালিক আরিফুল ইসলাম মন্টুকে আটক করেছে। সোমবার সকালে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অসুস্থরা সবাই কেরাত বিভাগের মক্তব শ্রেণির ছাত্র।
ওই মাদ্রাসার কিতাব বিভাগের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মো. হাফিজুল ইসলাম জানান, শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কোমর উদ্দিন খান কেরাত বিভাগের ১২৫ জন শিক্ষার্থীর সকালের নাস্তার জন্য ভুনা খিচুরি ও ডিম সরবরাহ করেন। ওই খাবার প্রথমে ৬০ জন শিশুর মধ্যে পরিবেশন করা হয়।
খাবার খাওয়ার পর পরই ওই শিশুদের পেটে ব্যথা ও বমি বমি ভাব অনুভুত হয়। পরে তাদের গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ অবশিষ্ট খাবার পরিবেশন বন্ধ করে দেয়।
কোর্ট মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য কোমর উদ্দিন খান বলেন, ‘মাঝে মাঝে আমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের খাবার দেই। সোমবার সকালের খাবার অর্ডার দেওয়া হয় শহরের পোস্ট অফিস রোডের রোমাঞ্চ খাবার ঘরে। ওই হোটেলের মালিক মো. আরিফুল ইসলাম চৌধুরী (মন্টু) শিশুদের সকালের নাস্তার জন্য ১২৫ প্যাকেট ভুনা খিচুরি ও ডিম সরবরাহ করেন। ছাত্রদের অসুস্থ হওয়ার খবর পেয়ে আমি হাসপাতালে ছুটে এসেছি।’
জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মো. নাজমুল হক বলেন, শহরের কোট মসজিদ মাদ্রাসার বেশ কিছু শিশু পেটে ব্যথা ও বমি বমি ভাব উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসে। তাদের ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, খাবারের বিষক্রিয়ায় শিশুরা অসুস্থ হয়েছে। সে অনুযায়ী আমরা চিকিৎসা দিচ্ছি। বেশির ভাগ শিশুর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আশা করছি তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।
গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী শফিকুল আলম বলেন, খবর শোনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। সেখান থেকে খাবারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকার মহাখালী ল্যাবে পাঠানো হবে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, রেস্টুরেন্টের মালিককে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/প্রতিনিধি/এমএস/এসআই