
পঞ্চগড়: বিশ্ব ট্যুরিজম দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের ট্যুরিজমকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে পায়ে হেঁটে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া বাংলাবান্ধা ১ হাজার ৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছেন সাইফুল ইসলাম মৃধা। এ পদযাত্রার তার শ্লোগান ছিল ‘বাঁচতে হলে হাঁটতে হবে।’
টেকনাফ থেকে ১৮ দিন পায়ে হেঁটে অবশেষে শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় জেলার বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টে তার পদযাত্রা শেষ করেন।
সাইফুল ইসলাম মৃধার বাড়ি গাজীপুর জেলার কাশিমপুর এলাকার বারেন্ডায়। তিনি নাশীহ এন্টারপ্রাইজ এন্ড ট্যুরিজম ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী। সেই সঙ্গে তার ‘অন্যরকম রিসোট’ নামে একটি দৃষ্টিনন্দন রিসোটও রয়েছে।
সাইফুল জানান, বিশ্ব ট্যুরিজম দিবসকে সামনে রেখে গত ১৯ সেপ্টেম্বর টেকনাফের শাপলা চত্বর জিরো পয়েন্ট থেকে তিনি তার পদযাত্রা শুরু করেন। ২৭ সেপ্টেম্বর পায়ে হেঁটে ঢাকায় পৌঁছে বিশ্ব ট্যুরিজম দিবসের শোভাযাত্রায় অংশ নেন তিনি। এরপর আবারো পদযাত্রা শুরু করেন। এভাবে ১৮ দিন হেঁটে তিনি তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট স্পর্শ করেন।
বাংলাবান্ধা পৌছলে তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে তাকে শুভেচ্ছা জানান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সুলতানা রাজিয়া। যাত্রা পথে তিনি বিভিন্ন স্থানে পথসভায় ডোমেস্টিক ট্যুরিজম সম্পর্কে সাধারণ মানুষের কাছে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন এবং সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন। দৈনিক তিনি গড়ে ৫৫ কিলোমিটার পথ হেঁটে এই পথ পাড়ি দিয়েছেন। যাত্রা পথে শারীরিকভাবে তিনি কয়েকবার অসুস্থ্য হয়ে পড়লেও অদম্য মনোবলের কারণে তা তাকে দমাতে পাড়েনি।
সাইফুল ইসলাম মৃধা বলেন, আমি বিশ্বের কাছে আমাদের দেশের ট্যুরিজমকে তুরে ধরতেই টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পদযাত্রা করেছি। এখানে আমাকে ট্যুরিজম বোর্ড সামান্য কিছু সহযোগিতা করেছেন। আমি চাই আমাদের দেশ ট্যুরিজমকে কেন্দ্র করে আর্থসামাজিকভাবে আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে। আমাদের দেশের অনেক সম্ভাবনাময়ী পর্যটন কেন্দ্র অবহেলায় পড়ে আছে সরকারিভাবে একটি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এসব পর্যটন কেন্দ্র দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
পায়ে হেঁটে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা পাড়ি দেয়ার পর এবার যুব সমাজকে মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে এবং বই পড়ার প্রতি সতেচনতামূলক প্রচারণা নিয়ে দেশের প্রত্যেক উপজেলা বাইসাইকেলে ভ্রমণ করবেন বলে জানান সাইফুল।
মো. লুৎফর রহমান (পঞ্চগড় প্রতিনিধি), সম্পাদনা: জাই