
ঢাকা: ভর্তি পরীক্ষায় শর্ত পূরণ না করার পরও ১৫৩ শিক্ষার্থীকে ভর্তি করায় ১০ বেসরকারি মেডিকেল কলেজের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না- তা জানতে চেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা লিভ টু আপিলের শুনানির সময় বুধবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
১০ প্রতিষ্ঠান হলো- শমরিতা মেডিকেল কলেজ, সিটি মেডিকেল কলেজ, নাইটিঙ্গেল মেডিকেল কলেজ, জয়নুল হক শিকদার মেডিকেল কলেজ, এ আর মেডিকেল কলেজ, ইস্ট-ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজ, তাইরুন নেছা মেডিকেল কলেজ, আইচ মেডিকেল কলেজ, কেয়ার মেডিকেল কলেজ ও আশিয়ান মেডিকেল কলেজ।
এসব বেসরকারি মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান ও অধ্যক্ষকে ২১ আগস্টের মধ্যে উপযুক্ত ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য বলেছেন আদালত। ওই ১৫৩ শিক্ষার্থীকে প্রথম পর্বের পরীক্ষায় রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র দেয়ার আদেশও স্থগিত করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
আদালতের শুনানিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও এএফ এম মেসবাহ উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল আইনজীবী খোন্দকার দিলীরুজ্জামান। বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার, এজে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার মাসুদ রেজা সোবহান ও আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন।
আদেশের পর খোন্দকার দিলীরুজ্জামান জানান, ১৫৩ শিক্ষার্থীকে রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র দিতে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিলেন, তা স্থগিত করছেন আপিল বিভাগ।
২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস/বিডিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় ২০০’র মধ্যে ১২০ নম্বর পাওয়া ছাত্র/ছাত্রীদের ভর্তি করা যাবে এবং ছাত্র/ছাত্রীদের লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বর পেতে হবে বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও একই সিদ্ধান্ত দিয়েছিল।
তবে ওই শর্ত পূরণ না হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ১০ বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়া ১৫৩ শিক্ষার্থীর প্রথম পর্বের (ফার্স্ট প্রফেশনাল এক্সামিনেশন) রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র আটকে দেয়।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এফএইচ/এসজি