
রাঙামাটি: কল্পনা চাকমা অপহরণ মামলার ২০ বছরেও কোনো অগ্রগতি হয়নি। মামলাটি পুন:তদন্তের জন্য সিআউডি’র হাতে রয়েছে। মামলার ওপর নজর রাখছেন আইন ও শালিশ কেন্দ্রের নীনা গোস্বামী। তিনি জানান, মামলার পর থেকে নানাভাবে নানা সময়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়েছেন। শেষ পর্যন্ত এটা সিআইডির তদন্তাধীন ছিল। এখন মামলাটি পুন:তদন্তের জন্য রয়েছে।
গোস্বামী বলেন, ‘তবে তদন্তের প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত মামলার কোনো অগ্রগতি হয় না।’ তদন্তের কাজ শেষ না হওয়াতে বিচারের কাজও থেমে রয়েছে। এদিকে, বিচার প্রক্রিয়া শুরুর আগেই মারা গেছেন কল্পনা চাকমার মা। কল্পনা চাকমা সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো তথ্য না পাওয়ায় এখনো তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা থেকে বিরত রয়েছে স্বজনরা।
এর আগে ২০১৩ সালে কল্পনা চাকমা অপহরণের ঘটনায় সিআইডির দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করে তার পরিবার। পরবর্তীতে তারা বিচার বিভাগীয় তদন্তের আবেদনও জানায়।
সে সময় পরিবারটির আইনজীবী জুয়েল চাকমা জানান, পুলিশ ও সিআইডি তদন্ত করার পরও অপহরণের বিষয়ে তারা কোনো তথ্য উদ্ঘাটণ করতে পারেননি। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বিচার বিভাগীয় তদন্তের আবেদন জানিয়েছি।
১৯৯৬ সালের ১১জুন মধ্যরাতে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে নিজ বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয় কল্পনা চাকমাকে। এসময় অপহরণের প্রতিবাদে বিক্ষোভের শুরু হলে পুলিশের গুলিতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। পার্বত্য চট্টগ্রাম হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেত্রী ছিলেন কল্পনা চাকমা।
একই বছর ১২ জুন বাদী হয়ে অপহরণের মামলা দায়ের করেন কল্পনা চাকমার ভাই কালিন্দী কুমার চাকমা। কল্পনা চাকমার পরিবার শুরু থেকেই সেনাবাহিনীর কয়েকজন সদস্যকে এই অপহরণের জন্য দায়ী করে আসছেন।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/আইকে/এসআই