
ঢাকা: একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি কলঙ্কময় অধ্যায়, এটি একটি বর্বরতম ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ ন্যাপের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল গানি স্বপনের স্মরণসভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
২০০৪ সালের ২১ আগস্টের ওই ঘটনায় নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানান বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের সময় ২১ আগস্ট ওই গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা-বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের কয়েক শ নেতা-কর্মী।’
ফখরুল বলেন, ‘ওই গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সে সময়ের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ৫২ জনকে আসামি করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশে গণতান্ত্রিক সরকার থাকলে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো সুন্দরবন ধ্বংসকারী চুক্তি হতো না। দেশে মধ্যবর্তী নির্বাচন একটি নতুন ষড়যন্ত্র।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টা চলছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। এটা কোনো নির্বাচনী জোটের ঐক্য বা আন্দোলনের জন্য ঐক্যের ডাক নয়। খালেদা জিয়া জাতীয় নেতা হিসেবে ওই আহ্বান জানিয়েছেন। এতে কারও দুঃখ পাওয়ার কথা না।’
স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি। অন্যদের মধ্যে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম, জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, এনডিপির চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মর্তুজা, ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বক্তব্য রাখেন।
প্রতিবেদন: আইরিন রবি, সম্পাদনা-জাহিদুল ইসলাম