
ঢাকা: ছাব্বিশ বছরে ১৩৫ কার্য দিবসে একটি হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ না করে মামলাটি কেন ধরে রাখা হয়েছে তার লিখিত কারণ জানতে ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট। ১৪ আগস্টের মধ্যে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মমতাজ বেগমকে এই বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করতে বলেছেন আদালত।
এক আসামির জামিন আবেদনের শুনানির পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জেমি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আসামী পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খন্দকার আহসান হাবীব। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জোনারেল মনিরুজ্জামান কবির।
আদালত তার আদেশে বলেন, ‘দ্রুত বিচার আইন অনুযায়ী ট্রাইব্যুনালের বিচারাধীন মামলা ১৩৫ কার্যদিবেরস মধ্যে সম্পন্ন করার নিয়ম। কিন্তু এই সময়ের পরও ছয় বছর ধরে মামলাটি কেন ওই আদালতে পড়ে রয়েছে এ জন্য তাকে কারণ ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।’
১৯৯০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের পূবালী সিনেমা হলের ফ্রিডম পার্টির অফিসের নিকট এক চায়ের দোকানের সামনে গুলিতে নিহত হন হারুনুর রশিদ নামে কাঁচামালের আড়তদার। এই ঘটনায় পরদিন ময়মনসিংহের কোতয়ালি থানায় মামলা করেন নিহতের ভগ্নিপতি মোশারফ হোসেন বাবুল। পরে মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ হস্তান্তর করা হয় এবং ২০১০ সালে ১০ জুলাই এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। মামলায় ৭৮ জন সাক্ষীর মধ্যে গত ছয় বছরে মোট ২৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে আদালতে।
এই মামলার আসামি মোহম্মদ আবদুর রশিদ ট্রাইব্যুনালে জামিন আবেদন করেন। কিন্তু ওই ট্রাইব্যুনাল তার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। এরপর তিনি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানির এক পর্যায়ে আদালত দীর্ঘদিন মামলার নিষ্পত্তি না হওয়ার বিষয়টি উঠে আসে এবং ধরা পড়ে।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য জানতে চাইলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জোনারেল মনিরুজ্জামান কবির বলেন, ‘যেহেতু মামলাটি দীর্ঘদিন ফেলে রাখা হয়েছে সেহেতু বিচারককে তলব করা দরকার। একই সঙ্গে তাকে লিখিত ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য বলা হোক। এরপরই আদালত লিখিত ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন।’
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এফএইচ/এমএস/এসজি