
আহমেদাবাদ: বাবা দিবসে প্রায় প্রত্যেক পিতাই সন্তানদের কাছ থেকে উপহার পেয়ে থাকেন। ভারতের গুজরাট রাজ্যের হীরা ব্যবসায়ী মহেশ সাভানিও তার ব্যতিক্রম নন। তবে তিনি একটি দুটি কিংবা এক ডজন নয় বরং ৪৭২ জন সন্তানের কাছ থেকে উপহার পেয়েছেন। এদের সকলেই কন্যা সন্তান এবং বিবাহিত।
প্রত্যেক কন্যাই তাদের এই মহান পিতাকে বাবা দিবসের শুভেচ্ছা জানাতে দ্বিধা করেননি। অবশ্য এসব কন্যার আসল বাবা নন তিনি। তবে পিতৃহীন এই কন্যাদের কাছে তিনি আসল বাবার চেয়েও অনেক বেশি আপন। এতিম এই কন্যাদের নিজ উদ্যোগে বিয়ের ব্যবস্থা করেছেন।
পিতৃহীন মেয়েদের বিয়ের ব্যবস্থা করে দেয়ার বিষয়টি তার মাথায় আসে ১০ বছর আগে। সে সময় তার মৃত ভাইয়ের দুই কন্যার বিয়ের সব উদ্যোগ তাকেই নিতে হয়েছিল। তিনি চিন্তা করে দেখলেন, তার ভাইঝিদের মত আশেপাশে এরকম অনেক মেয়েই আছে যারা তাদের পিতাকে হারিয়েছে। এসব পিতৃহীন কন্যার দিয়ের দায়িত্ব নেয়া শুরু করলেন সাভানি।
২০০৮ থেকে এপর্যন্ত ৪৭২ জন কন্যার বিয়ে দিয়েছেন ৪৭ বছর বয়সি ধনাঢ্য ব্যবসায়ী মহেশ সাভানি। প্রতি কন্যার বিয়েতে ৪ লাখের বেশি টাকা খরচ করেন তিনি। তাদের সোনা-রূপার গহনা, কাপড় ছাড়াও ঘরের জন্য প্রয়োজনীয় তৈজসপত্র এবং ইলেকট্রনিক সামগ্রী উপহার হিসেবে দেন।
প্রতিবছর তিনি পিতৃহীন এতিম মেয়েদের বিয়ের আয়োজন করেন। চলতি বছরে ২১৬ জন মেয়ের বিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
মহেশ সাভানি বলেন, যে নারী তার স্বামীকে হারিয়েছে, তার জন্য কন্যাকে বিয়ে দেয়া চ্যালেঞ্জিং একটি বিষয়। তবে কেবল হিন্দু মেয়েদেরই তিনি বিয়ের ব্যবস্থা করেন না বরং মুসলিম মেয়েদেরও এক্ষেত্রে তিনি সাহায্য করে থাকেন। নাহিদা বানু তাদের একজন।
নাহিদা বলেন, মহেশ পাপা আমার কাছে বাবার চেয়েও বেশি। আমি চাই, বিশ্বের সব মেয়ে যেন তার মত চমৎকার বাবা পায়। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এফকে/ওয়াইএ