
মাদ্রিদ: ৬৪ বছর বয়সে যখন বেশিরভাগ নারীই দাদী-নানী হয়ে নাতি নাতনিদের সঙ্গে ব্যস্ত সময় কাটান সে বয়সেই উত্তর স্পেনের বার্গোস এলাকার এক নারী যমজ সন্তানের জন্ম দিয়ে বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমে সাড়া ফেলে দিয়েছেন।
স্পেনের রিকোলেতাস হাসপাতালে সিজারিয়ানের মাধ্যমে শিশু দুটি পৃথিবীর আলো দেখতে পায়। স্প্যানিশ মিডিয়া জানায়, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নারী সন্তান জন্মদানের জন্য যুক্তরাষ্টে আইভিএফ (ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন)পদ্ধতিতে চিকিৎসা নিয়েছিলেন।
এর আগে ২০১২ সালে ওই নারী ৫৯ বছর বয়সে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। কিন্তু সোশ্যাল সার্ভিস কর্তৃপক্ষ শিশুটির কল্যাণের কথা চিন্তা করে তাকে মায়ের কাছ থেকে নিয়ে যায়। সমাজকর্মীরা জানিয়েছিলেন, শিশুটি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় লালিত পালিত হচ্ছিল দেখে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়।
অবশ্য বর্তমানে জন্ম নেয়া যমজ দুটির ক্ষেত্রে কি ঘটবে সে বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কোনো জটিলতা ছাড়াই দুটি সুস্থ সবল শিশুর জন্ম দিতে পেরেছেন নারীটি। বর্তমানে মা এবং সন্তান দুটি বেশ ভালো অবস্থায় আছে। যমজ শিশু দুটির মধ্যে ছেলেটির ওজন প্রায় আড়াই কেজি এবং মেয়েটির ২.২ কেজি।
এর আগেও ষাটের কোঠায় দুজন স্প্যানিশ নারী সুস্থ শিশুর জন্ম দিয়েছেন। তবে এই নারীই কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সি মা নন। এক্ষেত্রে তিনি দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন। গত বছরের এপ্রিলে ভারতের হরিয়ানার ৭২ বছর বয়সি দলজিন্দার কাউর এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। এখনো পর্যন্ত তিনিই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সে মা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। সূত্র: বিবিসি
গ্রন্থনা: ফারহানা করিম, সম্পাদনা: জাহিদ