
ঢাকা: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ৭ মার্চের জনসভাকে ঘিরে কয়েকটি স্থানে নারীদের যৌন হয়রানির ঘটনায় একটি মামলা করেছেন ভুক্তভোগী এক মেয়ের বাবা অনাদি রঞ্জন বৈরাগী। বৃহস্পতিবার রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রমনা থানায় তিনি মামলাটি করেন।
রমনা মডেল থানার ডিউটি অফিসার জানান, বৃহস্পতিবার রাতে অনাদি রঞ্জন বৈরাগী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলাটি করেছেন। রমনা মডেল থানার মামলা নম্বর-২৪।
৭ই মার্চে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অনুষ্ঠানে যোগদানের উদ্দেশ্যে যাওয়া একটি মিছিল থেকে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে- এমন অভিযোগ করে লেখা ফেসবুকে একটি পোস্ট ভাইরাল হয়। বিভিন্ন মহল থেকে বিষয়টির নিন্দা আসে। এরপর বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, অভিযোগের বিষয়ে ভিডিও ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলামোটরের ঘটনাটি নিয়ে যে স্ট্যাটাসটি দেয়া হয়েছিল সেখানে লেখা ছিল- ‘শান্তিনগর মোড়ে একঘণ্টা দাড়ায় থেকেও কোন বাস পাইলাম না। হেটে গেলাম বাংলামটর। বাংলামটর যাইতেই মিছিলের হাতে পড়লাম। প্রায় ১৫-২০জন আমাকে ঘিরে দাড়াইলো। ব্যস! যা হওয়ার তাকে তাই। কলেজ ড্রেস পড়া একটা মেয়েকে হ্যারাস করতেসে এটা কেউকেউ ভিডিও করার চেষ্টা করতেছে। আমার কলেজ ড্রেসের বোমাত ছিঁড়ে গেছে, ওড়নার জায়গাটা খুলে ঝুলতেছে। ওরা আমাকে থাপড়াইসে। আমার শরীরে হাত দিসে। আমার দুইটা হাত এতগুলা হাত থেকে নিজের শরীরটাকে বাঁচাইতে পারে নাই।’
এই স্ট্যাটাসটি অনলাইনে ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর ওই তরুণী স্ট্যাটাসটি ‘অনলি মি’ করে নিজের প্রোফাইলে লিখেছেন, ‘আমি ভালো আছি, সুস্থ আছি। পোস্টটা অনলি মি করেছি কারণ পোস্টটা রাজনৈতিক উস্কানিমূলকভাবে শেয়ার করা হচ্ছিল। আমি কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পোস্টটা দেইনি।’
অভিযোগ ওঠার পর প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস-সেক্রেটারি আশরাফুল আলম খোকন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চের অনুষ্ঠানকে বিতর্কিত করতে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কিংবা গল্পের কথা শোনা যাচ্ছে। সত্য-মিথ্যা কতটুকু জানি না। হয়ত শিগগিরই তা উদঘাটিত হবে। উল্লিখিত ঘটনার আশপাশে সবখানেই সিসি-ক্যামেরা আছে। ঘটনা ঘটলে কারা কারা দায়ী এবং তাদের রাজনৈতিক পরিচয় কী তা খুঁজে বের করা কঠিন কিছু হবে না। না ঘটলেও হয়ত রটনার রহস্য উদঘাটিত হবে। উত্তেজিত হয়ে এখনই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত না করে অপেক্ষা করাই ভালো।’
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা: এম কে রায়হান