
ঢাকা: বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনাকারি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো (বিএটি) কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে সরকারের সচিব পর্যায়ের একাধিক প্রতিনিধি থাকার পরেও প্রতিষ্ঠানটির ৭০০ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে। জাতীয় সংসদকে এ তথ্য দিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী।
এই ঘটনাকে ‘অত্যন্ত লজ্জাজনক’ উল্লেখ করে সাবের বলেন, এই কোম্পানিতে সরকারের মালিকানা থাকা উচিত নয়। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সাবের বলেন, ‘এবারের বাজেটে তামাক নিয়ন্ত্রণে ভালো কিছু আশা করা হয়েছিল। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট বক্তব্য রয়েছে। তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকারের দ্বৈতনীতি ও করারোপের বৈষম্যের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, স্তরভিত্তিক কর বিন্যাসের সুযোগ নিয়ে কিছু কিছু কোম্পানি রাজস্ব ফাঁকি দেয়। এ রকম একটা ঘটনা এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) উদ্ঘাটন করে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো (বিএটি) কোম্পানিকে চিঠি দেয়। তারা প্রায় ৭০০ কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়েছে। বিএটি বিষয়টি নিয়ে আদালতে গেলেও সেখানে রাজস্ব ফাঁকির টাকা ফেরত দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।’ তিনি বলেন, এই কোম্পানিতে বাংলাদেশ সরকারের ১৩ ভাগ শেয়ার রয়েছে। পরিচালনা পর্ষদে সরকারের চারজন সচিব পর্যায়ের পরিচালক আছে। তাঁরা আবার নিরীক্ষাও করেন।
সাবের হোসেন বলেন, ‘একটি কোম্পানি যেখানে সরকারের শেয়ার আছে, যেই পরিচালকমণ্ডলীতে সরকারের সচিব পর্যায়ের প্রতিনিধিরা থাকে, তারা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। আমাদের যেসব পরিচালক আছে, তাদের সেখান থেকে সরে যাওয়া উচিত। অন্যথায় পুরো বিষয়ের সঙ্গে আমাদের জড়িয়ে ফেলা হবে।’
উল্লেখ্য, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন, শিল্পসচিব, কৃষিসচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং এই কোম্পানির সরকারনিযুক্ত স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিরীক্ষা কমিটির সদস্য পদে রয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকী।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এসকে