
ঢাকা: আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ৩ নভেম্বরে জেল হত্যা করে ৭ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধাসহ অনেক সৈনিক হত্যা করা হয়েছিল। সৈনিকদের রক্তের উপর পা দিয়ে জিয়া ক্ষমতায় এসেছেন। তাই এটা বিপ্লব বা সংহতি দিবস হতে পারে না। এটা সৈনিক হত্যা দিবস।
শুক্রবার রাজধানীর ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির স্বাধীনতা মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ আয়োজিত জেল হত্যা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
হাছান বলেন, দেশের রাজনীতিকে কলুষিত করার জন্য অনেকেই দায়ী। তারমধ্যে অন্যতম প্রধান দায়ী হচ্ছে জিয়াউর রহমান। কারণ তিনি রাজনীতিকে কলুষিত করছেন। তিনি নিজেই বলেছেন আই শুড মেক পলিটিক্স ডিফিকাল্ট। এবং তিনি সেটিই করে গেছেন।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক নেতাদের কেনাবেচা, ভালো ছাত্রদের হিজবুলবাহার বানানো এগুলো জিয়াউর রহমানের আমলে হয়েছে। এই রাজনীতিকে কলুষিত করার জন্য তিনি যেমন দায়ী, একই সাথে এরশাদও দায়ী। এর আগে পাকিস্তান আমলে আইয়ুব খান ও সামরিক জান্তারা দায়ী।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে হাছান বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ১০ টাকায় চাউল বিতরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাকে আমি অনুরোধ করবো প্রথমে প্রশংসা করুন।
তিনি বলেন, আমরা জনগণের কাছে কমিটমেন্ট করেছিলাম আমরা ১০ টাকা কেজিতে চাল খাওয়াবো। শেখ হাসিনার সরকারের ওয়াদা অনুযায়ী ৫০ লাখ পরিবারকে বছরে নয় মাস ১০ টাকা মূল্যে চাল বিতরণ কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। এটিকে আপনি (খালেদা জিয়া) অভিনন্দন জানান।
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি বলেছেন এই চাল নাকি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পাচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যদি গরিব থাকে তাহলে তো তারাই পেতে পারে। তাদের সে অধিকার আছে। এই চাল অনেক বিএনপি নেতাকর্মীরাও পাচ্ছে। এই চাল দল দেখে নয়, মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার এ ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার সাথে কাজ করছে। কোথাও উল্টাপাল্টা হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আসাদুজ্জামান দূর্জয়ের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদস্য মিনহাজ উদ্দিন মিন্টু, সংগঠনের সহ-সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন সাফি, হাজী মুজিবুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শরিফ আহমেদ।
প্রতিবেদক: ইয়াসিন রানা, সম্পাদনা: জাহিদ