
ঢাকা: ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের অন্তর্ভুক্ত করে ২০১৭ সালে ৯ম ওয়েজবোর্ড গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। এজন্য ওয়েজবোর্ড গঠনের আইনও সংশোধন করা হবে বলে জানান তিনি। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সাপ্তাহিক পত্রিকা পরিষদের এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে মজুরি বোর্ড গঠন করা হয় এবং তা কাযকর করা হয়। সরকার নীতিগতভাবে ৯ম ওয়েজবোর্ড গঠনের পক্ষে। ওয়েজবোর্ড গঠনের আইন সংশোধন করে দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকার সাংবাদিকদের পাশাপাশি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদেরও এর অন্তর্ভুক্ত করা হবে। প্রিন্ট মিডিয়ায় সাংবাদিকদের স্তর বিন্যাস আছে। এখন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মীদের স্তর বিন্যাসটা কীভাবে হবে তা আলোচনা শুরু হয়েছে। খুব বেশি সময় হয়তো লাগবে না। এ বছর তো শেষের দিকে। ২০১৭ সালের মধ্যে আইন সংশোধন করে ৯ম ওয়েজবোর্ড গঠন করা হবে। একইভাবে ২০১৭ সালের শুরুতে সম্প্রচার আইন পাস হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। সম্প্রচার কমিশনটা হবে আধাবিচারিক প্রতিষ্ঠান।’
গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে জাসদ (একাংশ) সভাপতি বলেন, ‘জঙ্গি দমনের পর দেশে শান্তি ফিরে এসেছে। জঙ্গি দমনের ব্যাপারে সবাই একমত। কিন্তু, জঙ্গির সঙ্গি এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকদের বিষয়ে আপনাদের বলিষ্ঠ ভূমিকা দরকার। জঙ্গি দমনের পাশাপাশি জঙ্গির সঙ্গিকেও বর্জন করতে হবে। জঙ্গির পৃষ্ঠপোষক হলেন খালেদা জিয়া-বিএনপি।’
তিনি তার বক্তব্যে-বিবৃতিতে জঙ্গি ও রাজাকারের পক্ষে কথা বলেন, তাদের সঙ্গে একাট্টা বাধেন। খালেদা জিয়া জঙ্গিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। তিনি যদি পৃষ্ঠপোষকতা না করতেন তাহলে অনেক আগেই দেশে জঙ্গি দমন হতো। সুতরাং জঙ্গি দমনের পাশাপাশি জঙ্গির পৃষ্ঠপোষকদের রাজনীতি থেকে বয়কট করতে হবে। আগামী নির্বাচনের আগে এমন পরিবেশ চাই, যেখানে রাজাকার ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিযোগিতা থাকবে না।
সাপ্তাহিক পত্রিকা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এসএম মোর্শেদের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম-সম্পাদক এমএ মোতালিব হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শাবান মাহমুদসহ সংগঠনটির নেতারা বক্তব্য রাখেন।
সম্পাদনা: ইয়াসিন