
ঢাকা: দারুস সালাম থানা নাশকতাসহ দায়ের করা ৯ মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার অপরাধ আমলে নিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আদালত তাকে জামিনও দিয়েছেন। এ ছাড়া নাশকতার অভিযোগের দারুস সালাম থানায় করা আরও আটটি মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন আদালত। সে মামলাগুলোতেও তাকে জামিন দিয়েছেন।’
২০১৫ সালের প্রথম দিকে বিএনপির হরতাল অবরোধ চলাকালে রাজধানীর দারুসসালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে এ মামলাসমূহ করেন পুলিশ। ২০১৬ সালের প্রথম দিকে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন পুলিশ। এ মামলাসমূহে তাকে পলাতক দেখিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। মামলাসমূহে বেগম খালেদা জিয়া ছাড়াও দলের অনেক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
২০১৬ সালের ৫ এপ্রিল যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলা, বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলা, গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা, গুলশানের নাশকতার মামলা ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে দায়ের করা মোট পাঁচ মামলায় বেগম খালেদা জিয়া আইনজীবীর মাধ্যমে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী আরো বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন এরপর বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দেবেন। পরে পুরান ঢাকার রেবুতি ম্যানসনে অবস্থিত ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে নাইকো দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দেবেন। দারুস সালাম থানার করা আরও একটি নাশকতার মামলায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির হবেন তিনি।’ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া পুরান ঢাকার আদালত এলাকায় ১২টি মামলায় হাজিরা দিতে পৌঁছান।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এমএস/ওয়াইএ